Image description

বরিশালের হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছরের চেয়ে শিশু মৃত্যু হার ৬ গুন বেশি। দিনে গড়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৮১ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী। যাদের বেশির ভাগের বয়স ১ মাস থেকে ৬ বছর।

এবছর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিশু। এর মধ্যে মারা গেছে ১৩৫ শিশু। গত বছর ৭ হাজার ২৬৬ জন শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর মারা যায় ২২ জন। 

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন, ‘নিওমোনিয়ার জন্য দায়ী মানুষের অচেতনতা। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় নিজেরাই যে ঔষধ লাগে না তা প্রয়োগ করে। উপরন্তু তারা সিভিয়ারিটিও বোঝে না যে কখন ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসতে হবে।’

জ্বর-সর্দির সাথে বেড়েছে শিশুদের শ্বাস কষ্টও। অভিভাবকরা জানান, অনেক শিশুই শ্বাস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জীবন রক্ষায় আইসিইউ বেড স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ঔষধ, অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের সবই আছে। পাশাপাশি আমাদের ৫টা শিশু আইসিইউ বেডের কাজ চলছে। যদি এগুলো শেষ হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা আরও ফলপ্রসূ হবে।’

রোগ প্রতিরোধসহ শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় আনতে কাজ চলছে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘চিকিৎসা সেবাকে সমন্বিত রাখা তথা অর্গানাইজ করা। মৃত্যুহারকে শূন্যের কোটায় নিতে যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া দরকার বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ সব পন্থা অবলম্বন করেছে।’ 

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ১ বছরে আরো ২৯ হাজার জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে মারা গেছেন ৪১ জন।

মানবকণ্ঠ/আরআই