চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ভোটার নিবন্ধন করতে আসা রোহিঙ্গা এক নারীসহ তার দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুমাইয়া আকতার মুন্নী (১৮), মো. তৈয়ব (৪৫) ও মো. ইসমাইল (৬৫)।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রদত্ত কাগজপত্রের বিষয়ে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম বলেন, প্রথমে আমার কাছে আসলেও আমি তাদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিনি, পরে হয়তো কারো মাধ্যমে ধরে অন্যজনের কাগজপত্রের ভেতর করে আমার স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ্ বলেন, বুধবার দুপুরে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য এক রোহিঙ্গা নারী স্থানীয় একজনকে পিতা সাজিয়ে কার্যালয়ে আসেন। সে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের খুরুস্কুল গ্রাম এলাকার ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন নিয়ে আসে। আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকাসহ তার কথাবার্তায় (ভাষায়) সন্দেহ হয়। এ সময় নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করলে সবই ভুয়া বলে প্রমাণ মেলে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা নারী তার সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তির সহায়তায় ভোটার হতে আসেন বলে স্বীকার করেন। আটক রোহিঙ্গা ওই নারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি জন্ম নিবন্ধনও জমা দিয়েছে। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে সাজানো পিতা মো. ইসমাইলের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয় এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভোটার হতে গিয়ে আটক এক রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments