টাঙ্গাইলে দুই পৃথক জায়গায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও বাস চাপায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে মধুপুর উপজেলার আশ্রা বাজারে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা মজিবুর রহমান ও ছেলে জাহিদুর রহমান নিহত হয়। তাদের বাড়ি বড় আশ্রা গ্রামে। একই দিন সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর পাইপাস এলাকায় বাস চাপায় সিএনজি চালক সোহরাব হোসেন ও সিএনজি যাত্রী প্রদীপ পাল নিহত হয়। সিএনজি চালক সোহরাবের বাড়ি কালিহাতী উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে আর প্রদীপ পালের বাড়ি সদর উপজেলার করটিয়া এলাকায়।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, মধুপুরের আশ্রা বাজার থেকে বাবা মজিবুর রহমান ও ছেলে জাহিদুর রহমান বাড়ি ফিরছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির অপর একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তারা। পরে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহত মজিবুর রহমান মহিষমারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও আশ্রা বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে বাস চাপায় সিএনজির চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেস। আজ সকালে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার সোহরাব ও করটিয়ার প্রদীপ পাল। পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশা করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল শহরের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে সিএনজিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় সড়ক পাড় হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় উত্তরবঙ্গগামী একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয়রা সিএনজির চালক ও ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অটো চালক সোহরাব হোসেনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উন্নত চিকিৎসার প্রদীপ পালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এক পর্যায় প্রদীপ পাল ঢাকা পৌঁছানোর পূর্বেই মারা যায়।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. সৈকত হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিএনজিটি উদ্ধার করি। নিহত দুই জনের মধ্যে চালকের মৃতদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রদীপ পালের মরদেহ স্বজনরা বাড়ী নিয়ে গেছে।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments