Image description

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দিতে অপেক্ষমাণ মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার ও একটি মাইক্রোবাস কে যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল আরোহী ও প্রাইভেটকারের যাত্রী শিশুসহ ঘটনাস্থলেই পাঁচজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পরে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ নিহত এবং আহতদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

নিহতরা হলেন মোটরসাইকেল আরোহী আবদুল্লাহ (৭), আমেনা আক্তার (৪৫),ইসরাত জাহান ইমু (২৬),রিহা (১১) রুহি(৭) ,আয়াত (২) । এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেলে করে তার পিতার সাথে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিল। অপরদিকে বাকিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। প্রাইভেট কারে মা মেয়ে ও খালাতো বোন ও নাতিসহ তারা এক আত্মীয়ের কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে মগবাজার থেকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও  সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, সকাল ১১ টা ৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে ঢাকা মাওয়া হাইওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় একটি মোটরসাইকেল টোল প্রদান করছিল। তার পেছনে দাঁড়িয়েছিল একটি মাইক্রোবাস এবং একটি প্রাইভেট কার। বেপারী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে এসে ১১ টা ৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ গাড়ি গুলোকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে হেঁচড়ে ৫০ মিটার পর্যন্ত নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের এক আরোহী ও প্রাইভেট কারের চার যাত্রী ঘটনাস্থলে  নিহত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ও টোল প্লাজার নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনার পর পরই সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজধানী বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে।

হাসপাতালে দায়িত্বরত কোতয়ালী থানার এসআই জাকারিয়া জানান,আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালসহ ঢাকা মেডিকেল ও রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে  চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসের হেলপার কে সেনাবাহিনী আটক করেছে।

মানবকণ্ঠ/এসআর