সাতক্ষীরা সদরের শিকড়ি গ্রামে পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (২৮) ও মৃত স্বামী আব্দুল জলিল শিকড়ি গ্রামের আবুল ঢালীর ছেলে।
সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের নূর ইসলাম জানান, তার মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে শিকড়ি গ্রামের আবুল ঢালীর ছেলে দিনমজুর সম্রাটের ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সংসারের হাল ফেরাতে এক বছর আগে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ফাতেমা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতে যায়। এটাকে ভালো চোখে নেয়নি সম্রাট। দুই সন্তানকে ঢাকায় রেখে ফাতেমা রবিবার বাড়িতে ফেরে। সোমবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে ফাতেমা ও সম্রাট ঘরের দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় সন্ধ্যা রাতে বেয়ান (জলিলের মা) প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে ফেলেন। এ সময় তারা ফাতেমাকে তার পরিহিত শালোয়ার গলায় পেচানো অবস্থায় মৃত ও সম্রাটকে আড়ায় দড়িতে ঝুলানো অবস্থায় দেখতে পান। নূর ইসলাম ও স্থানীয়দের আশঙ্কা, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে ফাতেমাকে হত্যা করে সম্রাট আত্মহত্যা করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সুশান্ত কুমার ঘোষ জানান, মৃত স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাবে না।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments