Image description

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাঁদা দাবি করাকে কেন্দ্র করে পিস্তলসহ জসীম উদ্দিন (৩৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে যৌথবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার উপজেলার ঢালুয়া ইউপির চৌকুড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ওই সন্ত্রাসী পার্শ্ববর্তী সাতবাড়িয়া ইউপির সাতবাড়ীয়া গ্রামে বছির আহাম্মদের ছেলে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চৌকুড়ী গ্রামের দুবাই প্রবাসী নুরুন্নবী নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করতেছেন। এ সময় সন্ত্রাসী জসীম উদ্দিন তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। নুরুন্নবী চাঁদা না দেওয়ার জন্য অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকি ধমকি দেন জসীম। সেই সঙ্গে ওই গ্রামের বিভিন্ন লোকের কাছে চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী জসীম। ২০ দিন পূর্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনকে চাঁদা দাবির ঘটনাটি খুলে বলে ভুক্তভোগীরা। পরে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন এলাকার লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী জসীম উদ্দিনকে আটক করে তার মোটরসাইকেল রেখে দেয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সন্ত্রাসী জসীম উদ্দিন তার সঙ্গীদের নিয়ে চৌকুড়ী বাজার মোস্তফার দোকানে এসে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে ঠেক দেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি এলাকাবাসী দেখে সন্ত্রাসী জসীম উদ্দিনকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় তার পিস্তল উদ্ধার করে যৌথবাহিনীকে খবর দেয়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা এসে ওই সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঢালুয়া ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী জসীম উদ্দিন গত একমাস থেকে চৌকুড়ী বাজার এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। মানুষ আমার কাছে এসব ঘটনায় অভিযোগ করে। জসীম উদ্দিনকে তা জিজ্ঞেস করায় তিনি হুমকি ধমকি দেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী মোস্তফার দোকানে গিয়ে তাকে পিস্তল ঠেক দিয়ে চাঁদা দাবি করে। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে গণধোলাই দিয়ে যৌথবাহিনীকে খবর দেয়। পরে যৌথবাহিনী এসে জসীম উদ্দিন উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে যৌথবাহিনীকে খবর দেয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি এলজি ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। অস্ত্র আইনের মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

মানবকণ্ঠ/এসআর