জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর আলু খেত থেকে আব্দুল মালেক খান ফটু (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার জিন্দাপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের কুজাইল দিঘী বড়কোদাল নামক ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল মালেক খান ফটু উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত অফিল উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পার্শ্ববর্তী বেগুনগ্রাম ফাজিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত পিওন ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুল মালেক মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি রাতে বাড়িতে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কৃষকরা মাঠের মধ্যে আলু খেতে মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা মাঠে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি পড়েছিল রাস্তার পাশেই।
নিহতের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার বাবা বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে চৌমুহনী বাজারে গিয়ে রাতে আর বাড়িতে ফিরেননি। সারারাত খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে সকালে থানায় গিয়ে পুলিশকে অবগত করেছি। বাড়িতে আসার পর শুনতে পাচ্ছি আলু খেতে মরদেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে দেখি ওই মরদেহটি আমার বাবা।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সুস্থ ছিলেন। কে বা কারা আমার বাবাকে হত্যা করে মরদেহ আলু খেতে ফেলে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও পুলিশি তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments