যশোরের বাঘারপাড়ায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোররাতে ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয়ে দুটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের বারভাগ গ্রামের পশুপতি দেবনাথ ও বিশ্বনাথ দেবনাথের বাড়ি থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত কেউ শনাক্ত বা আটক হয়নি।
পশুপতি দেবনাথের ছেলে ব্রজেস্বর দেবনাথ জানান, শনিবার ভোররাত আনুমানিক সোয়া ৪টার দিকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাদের ডাকাডাকি করা হয়। দরজা খুলতে রাজি না হলে ভেঙে ঢোকার হুমকি দেয় তারা। পরবর্তী সময়ে ঘরে ঢুকে চট্টগ্রামের এক আসামি এই বাড়িতে লুকিয়ে থাকার দাবি করে ডাকাতরা। এক পর্যায়ে ব্রজেস্বর ও তার কাকা বিশ্বনাথকে বেঁধে বাড়িতে থাকা নারীদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নেয় তারা। এর পর পশুপতি দেবনাথের ঘর থেকে নগদ ১ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার এবং বিশ্বনাথ দেবনাথের ঘর থেকে ৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দুই পরিবারের ডাকাতি হওয়া মোট স্বর্ণের পরিমাণ প্রায় সাত ভরি।
ভুক্তভোগীদের বর্ণনা অনুযায়ী, তাদের সবার গায়ে পুলিশের পোশাক ও কয়েকজনের গায়ে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট ছিল। ডাকাতদের কাছে থাকা ওয়াকিটকিতে তারা কথা বলছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।
১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল সম্পূর্ণ ঘটনাটি ৩৫ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করে।
পাশের মামুদালিপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন নামে এক খামারি জানান, রাত ৪টার দিকে তিনি গরুর খাবার দিতে গোয়ালে গেলে পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের পোশাক পরা একটি দলকে বরভাগের দিকে যেতে দেখেন তিনি। আনুমানিক ৪০-৫০ মিনিট পর সেই দলটি আবার নোয়াপাড়ার দিকে ফিরে যায়।
বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলীম সমকালকে জানান, পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। তদন্ত চলছে। এর পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments