সৈয়দপুরে ফুলকপির হালি ১০ টাকা, খাওয়ানো হচ্ছে গরু-ছাগলকে!
নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রতি বছর ফুলকপি বিক্রি হয় কেজি বা পিসে। কিন্তু এবার বিক্রি হচ্ছে হালিতে। তাও মাত্র ১০ টাকা হালি! এমন দামের কারণে কৃষক বা চাষির উৎপাদন খরচও উঠছে না।
পাইকারি বাজারে প্রতি হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। বাইপাস সড়কের দুটি পাইকারি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। লোকজন নিজের এবং গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য বস্তা ভরে কিনছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে কপি কিনে গ্রামের হাটবাজারে প্রতি পিস ১০ টাকা হারে বিক্রি করছেন।
সৈয়দপুর বাইপাস রোডের পাইকারি সবজি আড়তের ব্যবসায়ী শাহীদ হোসেন জানান, গ্রামগঞ্জ থেকে কৃষকরা ভ্যানে করে বস্তা বস্তা ফুলকপি আনছেন কিন্তু বাজারে দাম পাচ্ছেন না। ফলে এই পাইকার বাজারে প্রতি হালি ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাঝে মাঝে দাম উঠানামা করে। তবে যেটা বিক্রি হচ্ছে সেটা সে যায়গায় রেখে চলে যাচ্ছেন বিক্রেতারা।
উপজেলার চৌমহনী বাজারে জটলা করে ১০ টাকা হালিতে কপি কিনছেন সাধারণ মানুষ। এখানকার একজন ক্রেতা সাবের আলী জানান, গরু-ছাগলকে খাওয়াতে তিনি চার হালি ফুলকপি কিনেছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ায়। উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে গরু-ছাগলকে খাওয়ানো হচ্ছে খেতের ফুল ও বাঁধাকপি।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙ্গালীপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে শাাক-সবজি আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি হয়ে থাকে কোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, তালতলা, জানেরপাড়, বোতলাগাড়ি, সোনাখুলি, বকপাড়া প্রভৃতি এলাকায়।
এলাকার কৃষক শমসের আলী জানান, মৌসুমের শুরুতে প্রতিকেজি কপি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আগাম যারা শাক-সবজি করেছিলেন তারা দাম পেয়েছেন। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে জমি থেকে তোলার খরচ উঠছে না।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, সৈয়দপুরে ব্যাপক শাক-সবজির আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাতেও পাঠিয়ে থাকেন। এখন ফুলকপির দাম কিছুটা কম। তবে কৃষকরা অন্যান্য শাক-সবজিতে লাভে রয়েছেন।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments