Image description

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বেকারি শ্রমিক মোহাম্মদ আলাল (২৪) অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পর অপহৃতকে উদ্ধার ও এক নারীসহ ৬ অপহরণকারীকে আটক করেছে  র‍্যাব-১০। বুধবার (৯ জানুয়ারি ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন গদাবাগ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

এসময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন,২টি সুইচ গিয়ার,২টি কাটার,২টি লোহার কেচি,১টি সেলাই রেঞ্জ,১টি স্টিলের ডালি,১টি স্টিলের প্লাস,২টি স্ক্রু ড্রাইভার এবং অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন, সৈকত সরকার (২৩), শিহাব রহমান সিন (২১),মো. সজিব (৩০), মো. রাসেল (৩০) মোঃ মেহেদী হাসান (২৮) ও মোছা. কুলসুম (২১)।

র‍্যাব -১০ সদরদপ্তরে সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট তানভীর হাসান শিথিল জানান, গত সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন পোস্তগোলা ব্রিজের নীচ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর গোকর্ণ পাড়া এলাকার মৃত সানু মিয়ার ছেলে আলাল মিয়া নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা আলালের মাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে  জানায় যে, তারা আলালকে আটক করেছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২০লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

ঐ সময় তারা আলালকে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে আলালের মাকে পাঠায়। এমনকি তারা আলালের পরিবারের সদস্যদেরকে ভিডিও কলে রেখে মারধর করতে থাকে এবং ভিকটিমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য চাপ প্রয়োগ করে নতুবা তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। 

এরপর আলালের পরিবার তাকে বাঁচানোর জন্য আটককারীদেরকে বিকাশের মাধ্যমে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা পাঠায়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার পরও আটককারীরা তাকে মারধর অব্যাহত রাখে এবং পরিবারকে আরো টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরবর্তীতে আলালের পরিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে এর ছায়া তদন্ত হিসেবে র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা পেশাদার অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ী। এদের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ থানায় একাধিক মাদক ও অপহরণ মামলা রয়েছে।

মানবকণ্ঠ/এসআর