Image description

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এর আগে, ওইদিন সকাল পৌনে ১১ টার দিকে স্বামীর বাড়িতে আচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  গৃহবধূর স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। গত প্রায় এক মাসে আগে সে ছুটিতে বাড়িতে আসে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া এবং মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওই গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান শ্বশুরবাড়ি লোকজন। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের মার বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমার মেয়ে জামাই আমাকে কল দেয়। মুঠোফোন আমাকে লাইনে রেখে সে আমার মেয়েকে মারধর করতে থাকে। সকাল দশটার দিকে দিকে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। আমার ধারণা  ওই সময়ই সে মারা যায়। বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলানো হয়েছে। ঘটনার পর মেয়ের জামাই ও তার বড়ভাই কৌশলে পালিয়ে যায়। আমার মেয়েকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে তাদের পালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। 

নিহতের ভাশুর  বলেন,  মেয়েটির রাগ অনেক বেশি ছিল। আমার ছোট ভাই সেটা মেনে নিয়ে সংসার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে আবারও ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জানালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই আমরা।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের গায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

মানবকণ্ঠ/এসআর