সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যার ঘটনায় খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহতের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে ছুরিকাঘাতে নিহত হন তরিকুল ইসলাম খান। এই হত্যাকাণ্ডের চার বছর পূর্ণ হলেও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তারা। এই হত্যার পর থেকেই দোষীদের শাস্তি প্রদান করার দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে নিহত তরিকুল ইসলাম খানের ছেলে ও মামলার বাদী ইকরামুল হাসান হৃদয় কান্নাজড়িত কণ্ঠে আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, আমার বাবার বিজয়ী হওয়াটাই ছিল অপরাধ। ওই নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী বুদ্দিন ও তার লোকজন মিলে অসংখ্য মানুষের সামনে ছুরিকাঘাতে বাবাকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, বাবাকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দিয়েছিল তারা। চারটি বছর হয়ে গেলেও এই মামলার মূল আসামি বুদ্দিন আজও গ্রেফতার হয়নি। আমরা চাই দ্রুত এই খুনিকে গ্রেফতার করে ও তার সহযোগীদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
নিহতের স্ত্রী বলেন, পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার স্বামী। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই, স্বামী হত্যার বিচার চাই। খুনের চার বছরেও প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা বুদ্দিন গ্রেফতার না হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এ হত্যার ঘটনার একদিন পর নিহতের ছেলে একরামুল হক হৃদয় বাদী হয়ে পরাজিত প্রার্থী ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন বুদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৪০-৫০ জন। যদিও চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে ওই সময় দেখা করেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ মহা-পরিদর্শক মোজাহিদুল ইসলাম। তিনি নিহতের পরিবারকে দোষীদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments