Image description

ফসল ও গাছ কাটা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরনগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চৌকা-কিরণগঞ্জ সীমান্তে দিনভর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিলো। বিকেল সাড়ে ৪টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)- ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে।

শনিবার বেলা ১১ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। তবে আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, শনিবার দুপুরে সীমান্তের শূন্যরেখার পাশে বাংলাদেশের ভেতরের জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন দুই যুবক। এসময় ফসলি জমি বিনষ্টের অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করেন ভারতীয়রা। পরে তারা বাংলাদেশের ভেতরের কয়েকটি আমগাছ কেটে দেন এবং ফসলি জমি বিনষ্ট করেন। এতে ক্ষিপ্ত বাংলাদেশিরা সীমান্তে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

বর্তমানে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বৈঠক শেষে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'আমাদের চৌকা এবং কিরণগঞ্জ দুটি বিজিবি ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে ১৭৭ এর ৩এস বরাবর বাংলাদেশি কিছু আমগাছ ছিল। বাংলাদেশের আমগাছ কাটাকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই দেশের মানুষ শূন্যরেখা বরাবর দাঁড়িয়ে যায়।'

বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল বলেন, 'আমরা বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে তারা এটা ব্যবস্থা নেবে। সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। কেউ যেন শূন্যরেখা অতিক্রম না করে, উত্তেজনাকর পরিবেশ প্রশমিত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। বিজিবির পাশাপাশি দেশপ্রেমিক জনগণ আমাদের পাশে আছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

অভিযোগ উঠেছে বিজিবি সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছে এবং বিএসএফ বোমা নিক্ষেপ করেছে—গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'এটা হচ্ছে আমাদের মব কন্ট্রোল করার জন্য উল্লেখযোগ্য আহত হওয়ার পরিসংখ্যান নেই। বিএসএফের কেউ আহত বা নিহত হয়েছে কি না আমরা এখনো জানতে পারিনি।

'মব কন্ট্রোল করার জন্য ওরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। আমি বিজিবি মহাপরিচালককে বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করেছি। আশা করি, বিজিবি ও বিএসএফ সদর দপ্তর উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন,' যোগ করেন তিনি।

মানবকণ্ঠ/আরআই