Image description

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘন্টার ব্যবধানে আমির আলী (৩৮) ও ইমরান (১৭) নামের দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। নিহত আমির আলী ভোলা সদর থানার নুর ইসলামের পুত্র। বর্তমানে সে পরিবারের নিয়ে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করত। সে একজন অটোরিকশাচালক ছিল। মূলত অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

অপরদিকে নীলফামারী জলঢাকার উত্তর বিরুল গ্রামের ফজল শেখের ছেলে ইমরান পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সোমবার (২০ জানুয়ারি ) দুপুর ২ টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা দিন কলাতিয়া শুটকিরটেক এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে আমির আলী ও বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কালিন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগনা চিতিখোলার পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর থেকে ইমরানের লাশ উদ্ধার করে মডেল থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, রাস্তার পাশের এলোমেলোভাবে একজোড়া স্যান্ডেল ও একটি ছুরির কাভার দেখে সন্দেহ হলে খোঁজাখুঁজি করে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের ঘাসের মধ্যে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। লাশের গায়ে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

জানা গেছে, নিহত আমির আলী মোহাম্মদপুর থেকে গতকাল রাত্রে রিক্সা নিয়ে বের হয়ে সকালে আর বাড়ি ফেরেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে আত্মীয়-স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করে। অপরদিকে নিহত ইমরান ভাগনা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঢাকা টাওয়ার-৪ নামের একটি নির্মাণাধীন ভবনে পাইলিং শ্রমিকের কাজ করত। দুপুরে কাজ করার সময় তার ছিঁড়ে পাইলিংয়ের লোহার খাচা ইমরানের মাথার উপর পড়লে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, নির্মানাধীন ভবনটি বিল্ডিং কোড না মেনে রাজউকের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সেফটির কোন ব্যবস্থা ও হেলমেট দেখা যায়নি। কাজ করার সময় হেলমেট পড়া থাকলে হয়তো ইমরানের মৃত্যু হতো না এমনটা দাবি করেছেন তার স্বজনরা। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাব আল হাসান জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার করে সূরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। মূলত অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে এমনটি ধারণা করা হলেও তদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এছাড়াও ভাগনা এলাকায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস