‘সমন্বয়ক, মরার জন্য প্রস্তুত হ’— দেয়ালে এমন কথা লিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সংগঠক মোহাইমিনুল ইসলামকে হুমকির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতের কোনো এক সময় ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চরশিহারী গ্রামে তার বাড়ির দেয়ালে এটি লেখা হয়।
মোহাইমিনুল ইসলাম শিহাব ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম আব্দুল মোতালিব।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিহাব এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ঠিক আছে আমিও মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। আমাকে দমায় রাখতে পারবেন না। দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে আমি প্রস্তুত।’
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেছেন, ‘৫ আগাস্টের আগে ও পরে জানা মতে ঈশ্বরগঞ্জের কোনো আওয়ামী লীগ নেতার কোনো ক্ষতি আমি করি নাই। আমার বাসার সামনে লিখে গেলেন— ‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’। আরে ভাই আমি তো অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে আছি মরার জন্য। মানুষ মানেই মরণশীল। মরতে একদিন হবেই, দেশের জন্য না হয় জীবন আরেকবার দিলাম।’
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মোহাইমিনুল ইসলাম শিাহব। পুলিশ বলেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাইমিনুল ইসলাম শিহাব বলেন, ‘সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এ সময় দেয়ালে কোনো লেখা ছিল না। সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে আমার মা বাড়ির সামনের দেয়ালে লাল রং দিয়ে— ‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ লেখাটি দেখে চিৎকার করতে থাকে। মায়ের চিৎকার শুনে আমি ঘুম থেকে উঠে এসে লেখাটি দেখতে পাই। অধিকাংশ সময় মা-বাবা ও বোন বাড়িতে একা থাকেন। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন বলেন, ‘এ বিষয়ে মোহাইমিনুল ইসলাম শিহাব থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চলমান আছে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন শিহাব। যে কারণে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারে তার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও লোপাট করা হয়।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments