চারঘাটে চাঁদা না পেয়ে ইউসুফপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিনকে লাঞ্ছিত করে কলেজের চেকবই ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পৌর বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামানসহ তিনজনকে আসামি থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ভ্যানে চারঘাট বাজারে ফিরছিলেন অধ্যক্ষ নুরুল আমিন। মুক্তারপুর এলাকায় পৌঁছালে তার ভ্যানের গতি রোধ করেন বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক ও তিতাস। তারা অধ্যক্ষের শার্টের কলার ধরে ভ্যান থেকে নামিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে থাকা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের তিনটি চেকবই এবং রেজুলেশন ও নোটিশ খাতা ছিল। সোনালী ব্যাংকের ফাঁকা চেকে জোর করে সই নিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়াও পকেটে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, পাঁচ আগস্টের পর বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান দলবল নিয়ে কলেজে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। তালা খুলতে বললে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় ভয়ভীতি দেখায়। মঙ্গলবার পথরোধ করে জনসম্মুখে হেনস্তা করে সবকিছু কেড়ে নেয়। আমি এখনও কলেজে যেতে পারিনি।
কলেজের সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান বিপ্লব বলেন, কলেজের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে রোকনুজ্জামান মামলা করেছেন। বিষয়টি আদালতে সমাধান হবে। কিন্তু দলবল নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। এছাড়া প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করাও দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মো. রোকনুজ্জামান বলেন, কলেজের নামে চারটি মামলা করেছি। সেগুলো বিচারাধীন। তবে কলেজে তালা আমি দেইনি। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত বা ছিনতাইও আমি করিনি। কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তায় অধ্যক্ষকে হেনস্তা করে চেক ও ফোন কেড়ে নেয়। সেগুলো উদ্ধার করে আমার কাছে রেখেছি। সময়মত ফেরত দেওয়া হবে।
চারঘাট মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত চেক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments