গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় হামলাকারীরা পুলিশকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাঙচুর ও মারধর করে মামলার বাদী ও তার স্বজনদের।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীপুর পৌর শহরের বেতঝুড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
হামলায় পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) চারজন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে হোসনে আরা নামের এক নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা হলেন শ্রীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান, নারী কনস্টেবল রুবিয়া খাতুন ও মামলার বাদী মনিরা খাতুন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামি মনিকা (৩৫) ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। মনিকা চেক জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
থানা পুলিশ সূত্রে গেছে, শ্রীপুর পৌর শহরের বেতঝুড়ি এলাকার সফিকুল ইসলামের স্ত্রী মনিরা খাতুন গাজীপুর আদালতে চেক জালিয়াতির একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি মনিকার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
শ্রীপুর থানার এএসআই মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে নারী কনস্টেবলসহ পুলিশের তিন সদস্য অভিযান চালিয়ে নিজের বাড়ি থেকে মনিকাকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারের পর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার সময় তার (মনিকা) স্বজনরা ‘ধর-ধর’ বলে অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা (হামলাকারীরা) মনিকাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে হামলাকারীরা পুলিশকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর চালায়।
মামলার বাদী মনিরা খাতুন অভিযোগ করেন, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার পর পুলিশের সামনে হামলাকারীরা তাকেসহ তার মা হোসনে আরা বেগমকে মারধর করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তার মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘মনিকার স্বামী দেলোয়ার, আনোয়ার হোসেন ও আবু সাঈদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল গণমাধ্যমংকে বলেন, ‘হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments