বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে আবারও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পাশাপাশি তারা ভবনে বুলডোজার ঢুকিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
শেখ হাসিনার ঢাকার বাসায় আগুন দেওয়ার পর গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি বুলডোজার দিয়ে ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছেন।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনের প্রবেশদ্বার ভেঙে কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন।বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ দ্বিতল ভবনে প্রবেশ করে ভেতরে থাকা কিছু আসবাবপত্র ছুড়ে নিচে ফেলে দেন।অপরদিকে নিচে থাকা অপর বিক্ষুব্ধ জনতা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এভাবেই রাত ১টা পর্যন্ত তাদের হামলা, ভাঙচুর চলছিল।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে বিক্ষুব্ধ জনতা সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।পাশাপাশি বুলড্জোর দিয়ে ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতার অপরাংশ।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরের কালীবাড়ি রোডে সাদিক আবদুল্লাহর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। এতে দোতলা বাসভবনের অনেকাংশ পুড়ে যায়। এ সময় সাদিক আবদুল্লাহ বাড়িতে ছিলেন না।ঘটনার পর মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের টানা পাঁচবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটুসহ তিনজনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ সেরনিয়াবাত ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বরিশালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিজয় উল্লাস শুরু করেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments