
নাটোরের গুরুদাসপুরে নবজাতক শিশুকে হত্যার মামলায় আল্পনা ক্লিনিকের পরিচালক তিন সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাঁদের নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ক্লিনিক পরিচালক আলাল উদ্দিন, তার ভাই সরোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর শহিদ জোয়াদ্দারের স্ত্রী ৯ মাসের গর্ভবতী সাথী খাতুনকে চাঁচকৈড় বাজারের আল্পনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে রক্তশূন্যতা ছিল। এসময় রক্তের গ্রুপ ‘এ পজেটিভ’ নির্ণয় করে এক ব্যাগ রক্ত সাথীর শরীরে প্রয়োগ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রক্ত প্রবেশের পরপরই সাথী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বন্ধ হয়ে যায় গর্ভের শিশুর নড়াচড়া। পরিস্থিতি খারাপ হলে ২৩ সেপ্টেম্বর সাথীকে পার্শ্ববর্তী হাজেরা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানতে পারেন সাথীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ করায় গর্ভের নবজাতক মারা গেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ক্লিনিকটি সিলগালা করা দেয় নাটোর সিভিল সার্জন অফিস। অনুমতি ব্যতিরেখেই ৩১ ডিসেম্বর তালা ভেঙে ক্লিনিক চালু করেন তারা। ইতঃপূর্বেও নানা অনিয়মের কারণে কয়েকবার সিলগালা হয়েছে ক্লিনিকটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমাস বলেন, সিলগালা খুলে ক্লিনিক চালু করার নির্দেশনা নেই। আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ক্লিনিকের ৭আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments