চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চারটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের মিঠাছরা বাজারের ইউটার্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হন আরও ২২ জন। আহতদের মধ্যে দশ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল প্রায় দুই ঘণ্টা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

নিহত দুইজন হলেন, সুমন হাওলাদার (৩৪) এবং সোহাগ (৩৩)। এরমধ্যে সুমন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার মুশিরাবাদ গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে। আর সোহাগ চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি থানার পুরা মসজিদ গ্রামের শাহা আলমের ছেলে।

আহতরা হলেন, শাহরিয়া (১৭), শারমিলা (১৬), রোমেলা (১৩), উম্মে ছালমা (১৬), আলমিয়া (১৪), মারিয়া (১৬), কামরুজ্জমান (৪২), আবদুর রশিদ (৫০), আয়েশা আক্তার (৪২), মিজান উদ্দিন (৬৩)। আহত বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভোররাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা নীরব পরিবহন একটি বাস, শ্যামলী পরিবহন বাসকে চাপ দেন। এতে নীরব পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের আইল্যান্ড পার হয়ে চট্টগ্রামমুখী হয়ে গেলে দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যান গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। অপরদিকে শ্যামলী পরিবহন বাসকেও ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে, এই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটনা। এতে চারটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হয়। আহত হয় বাসের প্রায় ২২ জন যাত্রী।

এ ঘটনায় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল প্রায় ২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ অনেক চেষ্টা করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক বোরহান বলেন, ‘ভোররাতে মহাসড়কের মিঠাছরা বাজার এলাকায় চারটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মানবকণ্ঠ/এসআর