Image description

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করতোয়া নদীতে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এসব কারণে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১ নং বুলাকিপুর ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রাম ও কুলানন্দপুর গ্রাম,কৃষ্ণরামপুর গ্রাম সহ নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলোতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইন অমান্য করে নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।

অপর দিকে ঘোড়াঘাট পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের চাম্পাতলী গ্রাম ও ৪ নং ওয়ার্ড ঘাটপাড়া এলাকায় চর কেটে বালু উত্তোলন এর ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকা ধসে পরবে,কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়ছে, এবং রাস্তা নষ্ট সহ পরিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী, নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। কিন্তু এসব নিয়মকে অমান্য করে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ভর্তি বালু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এইভাবে বালু উত্তোলন করলে বর্ষাকালীন সময়ে এই গ্রামগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। যদিও মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয় কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। অনেক সময় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের উপর চাপ প্রয়োগ করে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সারাদিন বেপরোয়া গতিতে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর চলতে থাকে এতে করে রাস্তায় ধুলা হচ্ছে এবং কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক গুলো ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এলাকাবাসীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ছোট ছোট পরিবহণ চালক,যাত্রী ও পথচারীরা। কেবল সড়কের ক্ষতি নয়, যে কোন সময় ঘটতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম জানায়, বালু উত্তোলনের বিষয়টি সত্য এবং আমরা প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করছি। তবে সমস্যা হলো আমরা তাদের পয়েন্টে পৌঁছার আগেই তাদের কাছে খবর চলে যায় এবং তারা পালিয়ে যায়। তবে এ কাজে সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মানবকণ্ঠ/আরআই