Image description

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় কবিরাজের কাছে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আব্দুল খালেক নামের ওই কবিরাজকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি মুক্তাগাছার গড়বাজাইলের পীরগঞ্জ গ্রামে।এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ তাকে আটক করে।

তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা দিতে রাজি হননি ভুক্তভোগী ওই নারী।

ওই কবিরাজের নাম আব্দুল খালেক (৬৫)। তিনি একই উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বড় বাজাইল গ্রামের নবিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নসু খার ছেলে।

ভুক্তভোগী নারী (৩৬) একই উপজেলায় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন। ঘটনার পর তিনি থানায় অভিযোগ করলে কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, এলাকায় কবিরাজ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে আব্দুল খালেকের। তার ঝাড়ফুঁক ও বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে সব ধরনের রোগ ভালো হয় বলে প্রচারণা রয়েছে। কারও সন্তান না হলে কবিরাজের শরণাপন্ন হলে সন্তান হয়, এমন বিশ্বাসে সন্তান ভুক্তভোগী নারী আব্দুল খালেকের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। নিশ্চিত সন্তান হবে এমন আশ্বাসে কবিরাজকে ১৫ হাজার টাকাও দেন তিনি। ৮ মার্চ ওই নারী আবারও কবিরাজের বাড়িতে যান। গিয়ে জানতে চান, সন্তান হতে আরও কতদিন সময় লাগতে পারে। এসময় ওই নারীকে বুঝিয়ে একটি কক্ষে নেন কবিরাজ। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুক্তাগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নারী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে থাকায় মৌখিক অভিযোগ দেন। এদিন রাতে ভণ্ড কবিরাজ আব্দুল খালেককে আটক করা হয়। শনিবার ওই নারী লিখিত অভিযোগ দিলে রাতেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি আব্দুল খালেক।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ওই নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার আব্দুল খালেককে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মানবকণ্ঠ/আরআই