
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদলের কর্মী নিহত হয়েছেন। বুধবার(১৯ মার্চ) ভোর সাড়ে চারটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত যুবদলের কর্মী হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে আজ ভোর রাত সাতে চারটার দিকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের কর্মী হাসিব নিহত হন। আহত হন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, ‘আমি এলাকায় নেই। শুনেছি রবিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল করে। দোষীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ ‘গ’ সার্কেলের এএসপি মেহেদী হাসান বলেন, চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় অভিযান চলছে। দোষী ব্যক্তি যেই হোক না কেন কেউ ছাড় পাবে না।
Comments