Image description

গাজীপুরের একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের চারবছর বয়সী মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।রোববার সকালে কাশিমপুর থানার গোবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতেরা হলেন—মো. নাজমুল ইসলাম (২৯), স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) ও নাদিয়া আক্তার (৪)। নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলপ্রতিমা গ্রামের মো. আবুর ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্বশুরের দেওয়া জমিতে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন নাজমুল। শনিবার রাত ১১টার দিকে তারা ঘুমাতে যায়। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় শ্বশুর ঘরের পেছন দিয়ে জানালা টেনে নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেতর থেকে লাগানো দরজা খুলে বিছানায় স্ত্রী ও তাদের চার বছর বয়সী সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে দরজা খোলা হলে বিছানায় স্ত্রী খাদিজা ও শিশু নাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়।’

মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ দিয়ে বা শ্বাসরোধে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর নাজমুল রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি হারপিকের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। নাজমুল নেশার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।

মানবকণ্ঠ/আরআই