
ঈদ শপিংয়ে গিয়ে দোকানের শাড়ি পছন্দ হয়নি বলায় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী এবং তার মা ও ভাইকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার নোয়াখালীর সূবর্ণচরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবদল নেতা রবিউল হোসেন কচি (৪০) ও তার ছেলে শাকিলের (১৮) বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার বিকেলে সূবর্ণচর প্রেসক্লাবে মা-ভাইকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের নিরাপত্তা ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেন ওই ছাত্রী।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় হারিছ চৌধুরী বাজারে কচির দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রবিউল হোসেন কচি সূবর্ণচর ইউনিয়নের চরজুবলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি চরজুবলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও হারিছ চৌধুরী বাজারের ফ্যাশন ক্লথ স্টোরের মালিক।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, শনিবার বিকেলে মাসহ ঈদ শপিংয়ে যান ওই কলেজছাত্রী। কচির দোকানে শাড়ি দেখে পছন্দ হয়নি বলায় তার ছেলে শাকিল মা-মেয়েকে অশ্লীল কথা বলে উত্ত্যক্ত করেন। এতে বাধা দিলে তাদের দুজনকে হেনস্তা করেন। খবর পেয়ে কলেজছাত্রীর ছোটভাই সেখানে গেলে তাকে মারধর করেন যুবদল নেতা রবিউল হোসেন কচি। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা রবিউল হোসেন কচি বলেন, ‘আমি দোকানে ছিলাম না। শাড়ি কিনতে এসে মা-মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের তর্কাতর্কি হয়েছে। আমি দোকানের যাওয়ার পর ওই ছাত্রীর ভাই দোকানে গিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে। পরে তাদের সঙ্গে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, দোকানির পক্ষ থেকে অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত এবং জিডির তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments