
মহান স্বাধীনতা দিবসে লালমনিরহাটে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ঢেকে রাখার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা। শনিবার বেলা ১১টায় লালমনিরহাট শহরের কলেজ রোডে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মারক মঞ্চে’ এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল এনসিপির। কিন্তু এর আগে সকাল ১০টায় একই ইস্যুতে সেখানে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সমন্বয়ক হামিদুর রহমান বলেন, এ ম্যুরাল স্বাধীন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস বহন করে না। এ কারণে ১৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন ম্যুরাল ঢেকে অনুষ্ঠান করেছে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) রাসেল আহমেদ বেলা ১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলে তোপের মুখে পড়েন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী তাঁকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই ম্যুরাল ঢেকে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে জেলা প্রশাসন।
১৪০ ফুট দীর্ঘ ম্যুরালে ভাষা আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকার গঠন, চরমপত্র পাঠ, উদিত সূর্য, ’৭১-এর গণহত্যা, এমএজি ওসমানী, সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের বক্তব্য জানতে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করে ও বার্তা পাঠিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।
Comments