Image description

সারাদেশের মতো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে প্রতিটি ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন আশ্রিত রোহিঙ্গারা। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে ঈদ উৎসবের ছোঁয়া লক্ষ্যণীয়।

রোহিঙ্গাদের অনেকেই এবারের ঈদকে বাংলাদেশের আশ্রয় জীবনের শেষ ঈদ হিসেবে ভাবছেন। তাদের ঘরে ফেরার স্বপ্ন আরো প্রাণবন্ত হতে শুরু করেছে, যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ইফতারে এসে সেই আশার কথা বলেন।

গতকাল রোববার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে রোহিঙ্গাদের ‘মেহমান’ সম্বোধন করে একই প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মসজিদের খতিব মোহাম্মদ অলিউল্লাহ (৩৯)।

নামাজের পর ঈদ মোনাজাতে তিনি দেশে ফেরার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেছেন।

অলিউল্লাহ তার ভাষায় বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আগামী বছর আমরা আরাকানে ঈদ করব। বাংলাদেশ যা করেছে, তা আমরা আজীবন মনে রাখব।’

২০১৭ সালে মাত্র ১১ বছর বয়স ছিল রোহিঙ্গা কিশোর রকিমের। দেখতে দেখতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। রকিম বলেন, ‘শৈশবের আরকানকে মনে করলেই কান্না আসে। আমরা সেখানে ফিরে যেতে চাই, সেটিই আমার দেশ।’

ঈদকে কেন্দ্র করে ক্যাম্প জুড়ে সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এপিবিএন কর্মকর্তারা জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নজরদারি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সব ক্যাম্পেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।