Image description

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিযোগ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটিকে অবৈধ দাবি করে তা বাতিল এবং অনিয়ম করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে দাতা সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এসময় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সেলিম শাহীর লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন অধিবাসী জানান, বিদ্যালয়ের জমিদাতা অ্যাডভোকেট আজাদকে বাদ দিয়ে অ্যাডহক কমিটি করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সোমবার এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে সেলিম শাহীর লোক হিসেবে পরিচিত ফিরোজ, মিলন, হোরণ মেম্বার হামলা চালান। পরে মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান উদ্দিন গত ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান। তার স্থলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনকে না দিয়ে জাফর উল্যাহ নামের এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অ্যাডহক কমিটি। পরে এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে অ্যাডহক কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আন্দোলন করেন এলাকার লোকজন।

অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অ্যাডহক কমিটিও অবৈধ। টাকার বিনিময়ে তাদের দেওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগও অবৈধ। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এসব বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সেলিম শাহীকে বারবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন , দুই পক্ষের হাতাহাতি-মারামারি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করে। কারা ফটকা ফুটিয়েছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।