Image description

কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন অফিসের অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি বন্ধে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে নুরে আলম শাহরিয়ার নামে এক ভুক্তভোগী।  

তিনি জানান, আমি শুধু কসবার নির্বাচন অফিসে চলমান দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলাম। অথচ আজ আমি নিজেই হয়রানির শিকার। আমাকে দালাল চক্র ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি কথা বললে মেরে ফেলা বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

শাহারিয়ারের অভিযোগে উঠে এসেছে, হালনাগাদ ভোটার তালিকা কার্যক্রম চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে রাতের আধারে অল্প বয়সীদের নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব ভুয়া ভোটার তৈরির বিনিময়ে নেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। একটি ঘটনায়, ঘুষ না দেওয়ায় এক ব্যক্তির ছেলের সব তথ্য নির্বাচন অফিস থেকে মুছে ফেলা হয়, যার প্রমাণস্বরূপ ভোটার ফর্ম নম্বরও তিনি দিয়েছেন (ফরম নম্বর: ১১৮৪৬৭৬০১)।

তিনি আরও জানান, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সরকারি কর্মকর্তা হলেও তার আশেপাশে থাকা কর্মচারীরা সবাই চুক্তিভিত্তিক এবং অঘোষিতভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় অফিস রাতেও খোলা রেখে টাকা নিয়ে ভোটার অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে, যার অডিও-ভিডিও ফুটেজও তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

নুরে আলম শাহরিয়ার অভিযোগ করেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. মারজিদ হোসেন তার নামে ও আরও কয়েকজন নিরীহ নাগরিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেন যাহার (SDR NO: ৫৬৫, তারিখ: ১৮/০২/২৫)। এমনকি ‘আমাদের কসবা’ নামক একটি ফেসবুক পেইজে তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে প্রমাণিত হয় অফিসের ভেতরের তথ্য ফাঁস হচ্ছে এবং পেইজটি দুর্নীতির সাথেই যুক্ত।

শাহারিয়ার জানান, তিনি লিখিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং বদলির আদেশ থাকা সত্ত্বেও কসবার নির্বাচন কর্মকর্তা উৎকোচ দিয়ে আগের পদে বহাল আছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দুর্নীতির সকল কিছু অস্বীকার করেন এবং ভোটার হালনাগাতে সময়, অফিসে নতুন ভোটার করা যাবে বিধান রয়েছে বলে দাবি করেন।