বাংলা নববর্ষ ঘিরে পণ্য প্রস্তুতে ব্যস্ত রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গ্রামে মেলাসহ নানান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর এসব অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বাড়ে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা। এতে ফাল্গুন থেকেই মাটির তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা।
উপজেলার মৃৎশিল্প কারিগর সুমিত্রা রানী পাল (৫৩) বলেন, রং দিয়ে এবং বিভিন্ন কারুকাজ করে আমরা এ মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরি করি। আমরা সারা বছরই এ কাজ করি। তবে এ সময়ে আমাদের ব্যস্ততা একটু বাড়ে। তারা মনে করেন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের বেচাকেনা বাড়লে সারা বছরের লোকসান তারা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
সরেজমিনে রায়গঞ্জ পৌর সভার ধানগড়া এলাকার পালপাড়ায় গিয়ে দেখাযায়, বৈশাখী মেলায় ব্যবসা করতে পণ্য তৈরিতে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের আঙিনায় বসে মাটি দিয়ে পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, হাঁড়ি, পাতিলসহ বিভিন্ন খেলনা ও সামগ্রী তৈরি করছেন তারা। রোদে শুকিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে তারপর নিপুণ তুলির আঁচড়ে বাহারি রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে মাটির তৈরি জিনিসগুলো।
তাদের তৈরি এই জিনিসগুলো পহেলা বৈশাখের মেলাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে বিক্রি করা হবে। যদিও প্লাস্টিকের পণ্য বাজার দখল করে নেয়ায় চাহিদা কমে গেছে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের। তারপরও বাপ-দাদার এ পেশাকে এখনও ধরে রেখেছেন তারা। পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পাওয়া গেলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন রায়গঞ্জ উপজেলার মৃৎশিল্পীরা।
Comments