
খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও রাঙামাটির কাউখালীতে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বান্দরবান আদিবাসী ছাত্র সমাজ।
রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় বান্দরবান সদরের ট্রাফিক মোড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী অপহরণ হন। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, অলড্রিন ত্রিপুরা, দিব্যি চাকমা, রিশন চাকমা ও লংঙি ম্রো।
এই ঘটনায় বিভিন্ন মহল পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-কে দায়ী করছে। অপহরণের চার দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
অন্যদিকে, গত ২৫ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাঙামাটির কাউখালীর বড়ডলু গ্রামে মো. ফাহিম (২৫) এক পাহাড়ি নারীকে নিজ বাসায় আটকে রেখে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল ওই নারী কোনোমতে পালিয়ে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন।
রাজনীতির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অপহরণ ও দীর্ঘ সময় আটকে রাখার মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা। পাশাপাশি রাঙামাটির ধর্ষণের ঘটনার অভিযুক্ত মো. ফাহিমকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়-
১. খাগড়াছড়িতে অপহৃত পাঁচ চবির শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে ও সুস্থ অবস্থায় নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান।
২. তাদের উদ্ধারে দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।
৩. অপহরণের সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা।
৪. ধর্ষক মো. ফাহিম ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৫. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এসময় বান্দরবান আদিবাসী ছাত্র সমাজের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments