Image description

খামারিদের উৎপাদিত দুধের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্কভিটায় দুধ সরবাহ বন্ধ করেছে খামারীরা। 

রোববার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি দুগ্ধ কারখানায় (মিল্কভিটা) খামারিরা দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। খামারীরা দুধের দাম ৪৮-৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। 

রেশমবাড়ী প্রাথমিক দুধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এব্যাপারে এনামুল হক বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্কভিটা খামারিদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রাথমিক সমবায় সমিতির নেতারা ৭ দিনের সময়সীমা (আলটিমেটাম) দিয়ে বলেন প্রতি লিটার দুধে ১০ টাকা না বাড়ালে মিল্কভিটায় পুরোপুরি দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও মিল্কভিটার দূর্নীতি, মিল্কভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনসহ ৬ দফা দাবী জানানো হয়। দাবী না মানা হলে ২ নভেম্বর থেকে দুধ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন সমবায়ীরা। এর ধারাবাহিকতা আজ সকাল থেকে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সমবায় সমিতির উৎপাদিত দুধগুলো স্থানীয় ঘোষদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ক্রমাগতভাবে গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সেই অনুপাতে দুধের দাম বাড়ায়নি মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ। সে কারণে আমারা মিল্কভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর বার বার আবেদন দিলেও সে কোন ব্যবস্থা নেননি। বর্তমানে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ দুধের দাম দিচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষের কাছে দুধের দাম ৬০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে।

জানা যায়, মিল্কভিটায় নানা অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ালেও প্রাথমিক সমবায়ীদের দুধের দাম দিচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা মাত্র। অথচ এ দুধই তারা বিক্রি করছে ১০০ টাকা লিটার। এদিকে ক্রমাগতভাবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় দুধ উৎপাদনে খরচ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে প্রান্তিক খামারিদের দুধের দাম থেকে প্রতি লিটারে ৬০ পয়সা করে গবাদিপশুর জাত উন্নতকরণ ও চিকিৎসা বাবদ মিল্কভিটা কেটে রাখলেও সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। সে সাথে মিল্কভিটার শেয়ার বাবদ প্রতি লিটারে ৪০ পয়সা করে রাখলেও সেসবের কোট সার্টিফিকেট দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এর ফলে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহে আগ্রহ কমছে প্রান্তিক খামারিদের। সিরাজগঞ্জ-পাবনা মিল্কশেড এরিয়ায় পাঁচশত খামারে প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হলেও মিল্কভিটা মাত্র ২০ হাজার লিটার দুধ নেন।