Image description

নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ২৪ বছর বয়সী এক যুবককে শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের বাবা হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই যুবককে কৌশলে ডেকে নিয়ে আটকে রাখেন তার প্রথম স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে যুবকের বাবা গিয়ে ছেলেকে শিকলবন্দি অবস্থায় দেখতে পান এবং রোববার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রথম স্ত্রীর দাবি, তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গত দুই বছর ধরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু স্বামী কোনো খোঁজখবর নিতেন না। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী গোপনে আরও দুটি বিয়ে করেছেন। তাই স্ত্রী হিসেবে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য স্বজনদের সহায়তায় তাকে বাড়িতে এনে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের সময় বাবার বাড়ি থেকে এক ভরি স্বর্ণালংকার, এক লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস না যেতেই সংসারে নানা অশান্তি শুরু হয়। স্বামীর আচার-আচরণে সন্দেহ হয়। স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এ নিয়ে সালিসও হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পরে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি।

তবে শিকলবন্দি ওই যুবক তিন নয় দুই বিয়ের কথা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, ‘বিয়ের তিন বছর ধরে কোনো সন্তান হয়নি তাদের। এ নিয়ে কলহ চলছিল। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। গত এক দেড় মাস আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ধরে এনে মারধর করে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আটকে রেখেছেন।’

শিকলবন্দি যুবকের বাবা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলেকে ধরে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে দেখেন, ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান মিডিয়াকে বলেন, ‘অভিযোগ দিয়েছে কি না, সেটি দেখতে হবে। বিষয়টি জাহাজমারা তদন্ত কেন্দ্র দেখবে।’

জাহাজমারা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি। ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।