Image description

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিজ বসতঘর থেকে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ২নং কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর চাকলা খিয়ারপাড়া গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী যোগেশ রায় এবং তার স্ত্রী সুর্বনা রায়। যোগেশ রায় স্থানীয় রহিমাপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত দম্পতির দুই ছেলেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। বড় ছেলে সুবেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না রায় ঢাকায় কর্মরত আছেন। ঘটনার সময় বাড়িতে ওই দম্পতি একাই ছিলেন।

ওই বাড়ির গৃহকর্মী দিপক রায় বলেন, ‘আমি ও আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতে কাজ করি। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে কাজের জন্য এসে গেটের সামনে ডাকাডাকি করি। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে গ্রামের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তাদের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য তুহিন বলেন, ‘শ্রী যোগেশ রায় ও তার স্ত্রী অত্যন্ত সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। এলাকায় তাদের কোনো শত্রু ছিল বলে আমাদের জানা নেই। যারা এই দম্পতিকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’