Image description

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আনিসুজ্জামান বলেছেন, “পুলিশের চেইন অব কমান্ড ঠিক করা হচ্ছে। এর আগে এই বিষয়টি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, যে কারণে জবাবদিহিতা কমে গিয়েছিলো।”

তিনি বলেন, “আমি সৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই। সিসি ক্যামেরার জন্য বরাদ্ধ থেকে ১০ কোটি টাকা নয়, ১০ হাজার টাকা নিলেও আমার জেল হবে—এটা আমি পরিষ্কার করে বলছি। অপরাধী যেই হোক অপরাধ করলে ছাড় নয়।”

নবাগত পুলিশ সুপার মানবকন্ঠকে জানান, এখন থেকে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) সংশ্লিষ্ট সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট করবেন। সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা রিপোর্ট করবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)–এর কাছে এবং তিনি রিপোর্ট করবেন জেলা পুলিশ সুপারকে। এছাড়া এসআই বা উপপরিদর্শকের এসিআর লেখার দায়িত্ব সার্কেল পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে—যা চেইন অব কমান্ড আরও শক্তিশালী করবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে পুলিশের প্রচেষ্টা হবে অতীতের বদনাম ঘুচানোর চেষ্টা।”

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর)সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নবাগত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল ইসলাম, সদর সার্কেল সাইফুল মালিকসহ বিভিন্ন সার্কেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লা নগরীর যানজট প্রসঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, “যারা টোকেন বানিজ্য করেন, তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। কুমিল্লা শহরে প্রায় ৩৬ হাজার যানবাহন চলাচল করে, কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন আছে মাত্র ৬ হাজার অটোরিকশা ও ইজিবাইকের। তাই আমরা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় আগামীকাল থেকেই যানজট নিরসনে অভিযান শুরু করব।”