Image description

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ছালেহা খাতুনের বিরুদ্ধে অডিটের নামে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে একই দিনে ভিন্ন তথ্যে একাধিক অডিট প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় সমবায়ীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে অকাল বন্যা প্রতিরোধে ‘ডুবি বড়ধায়ের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি.’-সহ চারটি নিবন্ধিত সমিতি রয়েছে। এসব সমিতির ওপর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ছালেহা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে অডিটের নামে হয়রানি চালিয়ে আসছেন।

সবশেষ, তিনি ‘ডুবি বড়ধায়ের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি.’-এর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে জালিয়াতির আশ্রয় নেন। মোটা অঙ্কের টাকার লোভে গত ২৮ সেপ্টেম্বর (২০২৫) একই তারিখে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে ওই সমিতির দুটি আলাদা অডিট প্রতিবেদন তৈরি করেন, যা সমবায় আইন ও চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

সমিতির সম্পাদক লুৎফুর রহমান ভূঞা অভিযোগ করে বলেন, “কর্মকর্তা ছালেহা খাতুন অডিটের নামে আমাদের জিম্মি করে অর্থ বাণিজ্য করছেন। তিনি মনগড়া অভিযোগ এনে কমিটিকে নাজেহাল করেন। এর প্রতিকার চেয়ে ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”

ভুক্তভোগীরা জানান, এর আগেও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে সমবায় আইনের ৪৯ (১) (ঙ) ধারায় তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তদন্ত আজও আলোর মুখ দেখেনি, ফলে তার দৌরাত্ম্য আরও বেড়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ছালেহা খাতুনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি “মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি” বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সমবায় কর্মকর্তা নবীউল ইসলাম বলেন, “তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপ-সহকারী নিবন্ধক শাহানারা হাসিন বলেন, “সমবায় আইনে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত আমরা করছি।”