Image description

রাজধানীতে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার রেশ না কাটতেই শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরে নাসির বিশ্বাস (২৩) ও মুন্না হাওলাদার (২৪) নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকা থেকে নূর ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত নাসিরের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস জানান, হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকার বাড়ৈখালীর ১২ নম্বর সড়কের বাসায় থাকতেন নাসির। তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের এক নম্বর ফটকের পাশে তাঁর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নাসিরের মৃত্যু হয়।

তাঁর বন্ধু শাওন আহমেদ বলেন, ‘মোটরসাইকেলে আমরা দু’জন সাদেক খান কৃষি মার্কেট এলাকায় গেলে মারামারি দেখতে পাই। সেখানে এক যুবক নাসিরের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন মোটরসাইকেল থেকে নেমে কবরস্থানের দিকে দৌড় দেয় সে। কিছু যুবক পিছু নিয়ে কবরস্থানের ফটকের পাশে নাসিরকে কুপিয়ে চলে যায়। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল।’

পুলিশ জানায়, একই ঘটনায় মুন্না হাওলাদার নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাবার নাম বাবর হাওলাদার; বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি রায়েরবাজারের পাবনা হাউস গলিতে থাকতেন। মুন্নার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ইমন ও আলতাফ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় এলাকার গ্রিন ভিউ হাউজিং সংলগ্ন সড়কে শাহাদত হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। 

খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে নূর ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ খান বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কেরানীগঞ্জের রায়েরচর এলাকায় থাকতেন নূর। তিনি আগে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেকার ছিলেন। কাজের খোঁজে প্রায়ই ঢাকায় আসতেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। এর পর আর তাঁর খোঁজ পাননি স্বজনরা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝিলপাড়ে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো, তা ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।