বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকায় গৃহবধূ উম্মে সালমার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের জন্য নিহতের ছেলে নয়, বরং বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তার দায়ী।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় বাসা থেকে খোয়া যাওয়া মোবাইল এবং ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে মাবিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া স্বীকার করেন যে, চার মাস আগে উম্মে সালমার বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে সালমা তাকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন, আর এর পরই মাবিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র সরকারকে নিয়ে উম্মে সালমাকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ফ্রিজে রেখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এর আগে রোববার (১০ নভেম্বর) দুপচাঁচিয়ায় ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। প্রথমে নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। র্যাব জানিয়েছিল, সাদ মায়ের খুন করেছে হাত খরচের টাকার জন্য এবং মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments