
হামিম গ্রুপের জিএমকে অপহরণপূর্বক হত্যায় জড়িত চারজন আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সর্বশেষ গ্রেপ্তার আসামিকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার রাত পৌনে ১১টায় র্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, কোম্পানি কমান্ডার(সিপিসি-২) মেজর আহনাফ রাসিফ বিন হালিম।
তিনি বলেন, গত ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার পর অফিস থেকে বের হয়ে হামিম গ্রুপের জিএম মো. আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তারা জানান, মো. আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার ড্রাইভার সাইফুল সন্দেহজনক কথাবার্তা বলেন। ভুক্তভোগী পরিবারের হলে তাকে আটক করেন এবং পুলিশের হাতে হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ সময় ড্রাইভার সাইফুল ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান। একই দিনে তিনি ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি গাইবান্ধায় চলে যান। পরে ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার সময় জিএম আহসান উল্লাহর মরদেহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে। একই সঙ্গে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা জোন কর্তৃক মরদেহ সুরতহাল এবং আসামিদের বিভিন্ন আলামত সন্ধান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মরদেহ শনাক্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ একটি দল আসামি সাইফুলকে গাইবান্ধা থেকে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি নূর নবীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, তাদের সঙ্গে জড়িত তৃতীয় ব্যক্তি ইসরাফিল ওরফে ইসরান এবং সুজন ঘটনাস্থলে ছিল। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য পুলিশের কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারদের সূত্র ধরে ইসরাফিল ওরফে ইসরানকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ আজকে রাত পৌনে ৯টার দিকে আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তৃতীয় আসামি ইসরাফিল ওরফে ইসরানের ব্যাপারে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। সর্বশেষ আসামি সুজনকে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মেজর আহনাফ রাসিফ বিন হালিম বলেন, অপহরণপূর্বক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ড্রাইভার সাইফুলকে শনাক্ত করা হয়। বাকি সবাই তার সহযোগী ছিল। তারা তুচ্ছ ঘটনা এবং লোভের আশায় ঈদের আগে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য অপহরণ করে এবং জিএম আহসানুল্লাহকে নির্যাতন করে মৃত্যু ঘটায়। সার্বিক তদন্ত, রিমান্ড এবং ১৬৪ ধারার জবানবন্দি আলামতসহ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি উত্তরা জোন কর্তৃক প্রদান করা হবে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments