Image description

দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।  এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন তলানিতে নেমেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে। লেনদেন তলানিতে নামলেও বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। একই সঙ্গে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২২১ ও ১ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এ দিন ডিএসইতে ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৩৫ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।  

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২০৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো-ইবনে সিনা, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণফোন, এসআইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, মবিল যমুনা, ওরিয়ন ফার্মা, লাভেলো আইসক্রিম ও আফতাব অটো।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ২৭১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাতবদল হওয়া ১৮৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৬৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে মাত্র ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।