Image description

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদে আবারো রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসির সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন বিনিয়োগকারীরা। পরে, বিএসইসি ঘেরাও করে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। বিএসইসি চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে রোববার থেকে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিনিয়োগকারীরা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আস্থায় ফিরতে থাকেন শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ৬ তারিখ থেকেই টানা সূচক বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে উঠে। কিন্তু এর কিছু দিন পরই শুরু হয় সূচকের উঠা-নামা। নতুন কমিশন গঠন করা হলেও বাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

বুধবার ১৩২ পয়েন্ট সূচক কমলে হতাশ হয়ে যান বিনিয়োগকারীরা। দরপতনের প্রতিবাদে আবারো রাস্তায় তারা। শেষ কর্মদিবসে বিএসইসির সামনে জড়ো হয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দেন বিনিয়োগকারীরা। পরে বিএসইসির বাইরের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এসময় বিনিয়োগকারীরা বলেন, নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়েই ২৭টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। বিনিয়োগকারীদের দাবি, সংস্কারের নামে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে বাজারে টানা দরপতন। 

এদিকে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে ঢাকার শেয়ার বাজারের। ডিএসইতে প্রধান সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক পাঁচ আট পয়েন্ট। লেনদেন হয় ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। দর বেড়েছে ৫২ ভাগ শেয়ারের। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ১৯ দশমিক দুই ছয় পয়েন্ট।

বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই পরতে থাকে ঢাকা স্টকের সূচক। প্রথম ৪৫ মিনিটে প্রধান সূচক কমে ৪৯ পয়েন্ট। দিনশেষে ডিএসইএক্স সূচক ৮ দশমিক পাঁচ আট পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে। 

ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩১৫ কোটি টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি টাকা। ডিএসইতে হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৯টির, কমেছে ১৩৮ টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৫০ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম ইবনে সিনা, দ্বিতীয় মিডল্যান্ড ব্যাংক, তৃতীয় অবস্থানে ইসলামী ব্যাংক।

শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম ডমিনেজ স্টিল, দ্বিতীয় শ্যামপুর সুগার মিল, তৃতীয় অবস্থানে দেশ গার্মেন্টস। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ১৯ দশমিক দুই ছয় পয়েন্ট। লেনদেন হয় ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস