Image description

পুঁজিবাজারে ২৮ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি করায় দরপতনে আতঙ্কিত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হঠাৎ সিদ্ধান্তেই বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত-এমন অভিযোগ অনেকের। বিশ্লেষকদের মত, নিম্নমানের কোম্পানিকে রাজনৈতিক তোষণে এই দুরাবস্থা। তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আরও দূরদর্শীতার পরামর্শ তাঁদের ।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত নিম্নমানের কোম্পানির সারি দীর্ঘ হচ্ছে। লভ্যাংশ না দেওয়ায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে নতুন ২৮ কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করে ডিএসই। এর মধ্যে উন্নত মানের এ-ক্যাটাগরি থেকে বাদ পড়েছে ৫টি। এর পরের ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে বাদ পড়েছে ২৩টি কোম্পানি। তবে এর মধ্যে শর্তপূরণের পর এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন ও দেশ গার্মেন্টস আবারো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হয়েছে। 

হঠাৎ করে ‘জেড’ ক্যাটাগরি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের দাবি, কোম্পানিগুলোর ভুলের শাস্তি বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ২০১০ সালের পর থেকে ওই সব কোম্পানি লিস্টেড করা হয়েছে। ওইসব কোম্পানিগুলোতে অডিটর পাঠিয়ে কোম্পানির আসল অবস্থা তাদের জানানো হোক।  

ডিএসই জানিয়েছে, গত ১৪ বছরে দুই কমিশনের অনুমোদিত ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টিকে নামিয়ে আনা হয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। জেড বা নিম্নমানের তালিকা বড় হওয়ার ঘটনাকে বাজারের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিআরবি সিকিউরিটিজের সিইও আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত ১৬ বছরে যেসব কোম্পানি লিস্টেড হয়েছে তা রাজনৈতিক বিবেচনায়। এসব কোম্পানির পেছনে রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি।’


নিম্নমানের কোম্পানিকে ঘিরে যেন পুঁজিবাজারে কারসাজি না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।