Image description

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে ডিমের সরকার নির্ধারিত দাম মানতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাজারে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতারা বলছেন, সরকার খুচরায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা বেঁধে দিলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। মহল্লার দোকানে দাম আরও বেশি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, মাত্র এক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত। অনেক বিক্রেতা সরকারি দাম জানেনও না। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে ঘুরে ডিমের দামের এই চিত্র দেখা গেছে। আগের দিন মঙ্গলবারই ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয়।

এদিকে চড়া সবজির বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রায় ১০০ টাকা কেজি করে। কাঁচা মরিচের দাম ২৪০ টাকা কেজি। তেল, চিনির আমদানি শুল্ক কমালেও তার কোনো প্রভাব নেই বাজারে। সব মিলিয়ে বাজার করতে এসে ভোগান্তিতে ভোক্তারা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজারের ক্রেতারা বলেছেন, বন্যার কারণে বাজারে সবজি আসতে পারছে না। আর ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেককে।

টিসিবির তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৮২ থেকে ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া বেগুন মানভেদে কেজিতে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, টমেটো কেজিতে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স যথাক্রমে ৮০ থেকে ১০০ এবং ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে এবং সরবরাহ ঘাটতি থাকলেই দাম বাড়ে এতে তাদের করার কিছু নেই। ক্রেতারা বলছেন, সকল পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রয়োজন সরকারের কঠোর  নজরদারি।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ডিমের দাম বেড়েছে বলে জানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ডিমের দর স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকি শুরু হবে বলে জানায় অধিদপ্তর। ডিম ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান। তিনি বলেন, ডিমের বাজারে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। ভোক্তা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দরে ডিম বিক্রি করবে তারা। এ ব্যাপারে করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা একমত হয়েছেন।