Image description

ঢাকার শেয়ার বাজারে আবারো বড় দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ১৪৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা গেল চার বছরের সর্বনিম্ন সূচক। এছাড়া, লেনদেন ৩শ কোটি টাকার ঘরে। এদিকে, পুঁজিবাজারের পতন রোধে মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তাদের।

রোববার দিনের শুরুতে ইতিবাচক ছিল ঢাকার শেয়ার বাজার। প্রথম ১০ মিনিটে সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫ হাজার ১২৪ পয়েন্টে। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকেও পতন ঘটে। দিনশেষে ডিএসইএক্স সূচক ১৪৯ দশমিক দুই শূন্য পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে। যা গেল চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক। এর আগে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছিল ৪ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে। এরপর ২০২১ সালে প্রধান সূচক বাড়লেও, পরে তা কমতে থাকে।

এদিকে, গেল তিন কার্যদিবসেই লেনদেন কমেছে ডিএসইতে। এসময়, মোট লেনদেন হয় ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের তিন কর্মদিবসে লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি টাকা। হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর হারিয়েছে ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। বেড়েছে মাত্র ২৯টি এবং অপরিবর্তিত ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। 

এদিকে, এদিকে পুঁজিবাজারে সূচকের টানা পতনে মতিঝিলে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের দাবি, সূচকের পতন রোধে যেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজার বিপর্যস্ত হয়ে আছে বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তাই, আস্থা না হারিয়ে র্দীঘমেয়াদি বিনিয়োগের আহ্বান বিএসইসি কর্মকর্তার।  

বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘তারল্য বৃদ্ধির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বিশেষ করে ব্যাংক, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, যারা মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করে তাদের দিক থেকে বিনিয়োগ আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’ 

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ১৯৯ দশমিক মাত শূন্য পয়েন্ট। লেনদেন ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস