কিছুদিন ধরে দেশের বাজারে বেড়েছে সবধরণের পেঁয়াজের দাম। ফলে ১ কেজি চাহিদা থাকলে এখন আধা কেজি পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু বিক্রেতা পরিমাণের ওপর নির্ভর করে দুই এক টাকা কম রাখছেন। দাম বেশির কারণে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা, অন্যদিকে বিক্রিকে ভাটা পড়ায় অসন্তুষ্ট বিক্রেতারা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ক্রেতা নাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত পেঁয়াজের বাড়তি দাম, বাজার মনিটরিংয়ের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ল না এখনও। বেশি দামের কারণে আজ তো আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। আমার কথা বাদই দিলাম, নিম্ন আয়ের মানুষরা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না হয়তো।
কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আসলাম হোসেন বলেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে পেঁয়াজ বিক্রির পরিমাণ আগের চেয়ে কমে গেছে। আমি দেশি পেঁয়াজ আজ ১৪০ টাকায কেজিতে বিক্রি করছি, আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০টাকা কেজি বিক্রি করছি। আমার এই ছোট দোকানে আগে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ কেজি পেঁয়াজ করেছি। এখন সেই বিক্রি কমে গেছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ এখন তুলনামূলক কম পেঁয়াজ কিনছে।
মালিবাগ বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেট কী সরকারের চেয়ে ক্ষমতাধর। প্রতিদিন টেলিভিশনে শুনি এই উদ্যোগ, ওই উদ্যোগ। কিন্তু বাজার পরিদর্শনেও তারা আসে না মনে হয়। কেউই সাধারণ ক্রেতাদের কথা ভাবে না। আগে একসাথে দুই তিন কেজি করে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন এক কেজি পেঁয়াজ কেনাই কষ্টকর। দাম বাড়ার পর থেকে নিয়মিত আধা কেজি করে পেঁয়াজ কিনছি।
পেঁয়াজ বিক্রেতা আকাশ কর্মকার বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজ সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজের পরিমাণও কম। সব মিলিয়ে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি যাচ্ছে। এই দাম এমন বাড়তিই থাকবে কৃষকের নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগ পর্যন্ত। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম আবার কমবে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments