বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে বৃহস্পতিবার আরও ৬ ট্রাক (২০৫ টন) চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে গত চারদিনে ২১টি ট্রাকে ভারত থেকে ৭২৫ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতি টন চাল আমদানিতে ৪৩০ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে ৫১ টাকা ৬০ পয়সা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়েও চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভারত থেকে চালবোঝাই ৬টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৪ জন আমদানিকারকের অনুমতি থাকলেও তিনদিনে মেসার্স মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, মেসার্স অর্ক ট্রেডিং, মেসার্স এস এম এস এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স সর্দার ইন্টারন্যাশনাল নামের চারটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করছে। আরও চাল আসার কথা রয়েছে।
সারা দেশে খুচরা বাজারে খাদ্যশস্যের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার বেসরকারি খাতকে এক মাসের মধ্যে ৫ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমানের স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে এ অনুমতি দেওয়া হয়। মোট ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে এই চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, মোট চালের মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল ও ১ লাখ ৬২ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করতে হবে। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে যা বাজারজাত করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মিন্নুর রহমান ও শহীদুল ইসলাম জানান, শুল্ক থাকায় বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তে ফের চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সব শেষ চাল আমদানি হয়েছিল। আগে চাল আমদানিতে শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ ভাগ থাকার পরে তা কমিয়ে ২৫ ভাগ নির্ধারণ করে সরকার।
কাজী রতন বলেন, গত চারদিনে ভারত থেকে ২১টি ট্রাকে ৭২৫ টন চাল বেনাপোল বন্দরে এসেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়া হচ্ছে চালের চালান।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments