মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে। মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে নতুন করে কোনো পণ্য আমদানি হচ্ছে না। শুধু পুরনো পণ্য খালাস কার্যক্রম চালু রয়েছে। এই বন্দরটির কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়িদের সংগঠন টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সংঘর্ষের কারণে পণ্য আমদানিতে ধস নেমেছে। কয়েকমাস পরপর মাত্র একটা দুটো মালবাহী বোট ভিড়ে বন্দরে। এক সপ্তাহ ধরে এই অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। শুধু একটি বোট মিয়ানমার থেকে এসেছে মাছ নিয়ে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার থেকে মাত্র একটি বোটে পণ্য আমদানি হয়েছে। এরপর থেকে নতুন করে কোনো মালামাল আমদানি হয়নি। তার মতে, মিয়ানমারের চলমান সংঘর্ষের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে আগের আমদানি করা পণ্য সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫১ কোটি টাকা।
স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের মতে, মিয়ানমারের ভেতরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার এই দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments