Image description

ঢাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামত ডলার। মূল্য তালিকায় ১২০ টাকা লিখা থাকলেও ক্রেতাদের ডলার প্রতি গুণতে হচ্ছে ১২৭ টাকার বেশি। এদিকে ব্যাংকাররাও বলছেন, আমদানির দায় পরিশোধে হঠাৎ চাপ বেড়েছে। তাই বাড়ছে ডলারের দাম। এমন অবস্থায় আবারো মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে ডলার খুঁজছিলেন জাকারিয়া ও তার বন্ধু। তবে, বেশ কয়কটি ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জে গিয়েও ডলার পেলেন না। মাস দুয়েক ধরে খোলাবাজারে ডলার বেচাকেনার দর ছিলো ১২০-১২২ টাকার মধ্যে। এখনো মূল্যতালিকা অপরিবর্তিত থাকলেও প্রকৃত দর ছাড়িয়েছে ১২৭ টাকা।  

ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী চালতি মসের মধ্যেই আমদানির বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া, রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহেও ব্যাংকগুলোকে দাম দিতে হচ্ছে ১২৪- ১২৫ টাকা পর্যন্ত। 

পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যাংক আছে যে এলসি করে ফেলেছে, এখন পেমেন্ট করতে হবে। ডলারের যোগান একটু কমতে থাকলে তখনই দাম বেড়ে যায়। প্রতিটা ব্যাংকের প্রোফাইল করা দরকার ছিল, আমাদের ডলারের যোগান কেমন হবে, ডলারের প্রবাহ কেমন হবে, কখন আমাদের এলসি পরিশোধ করতে হবে।’ 

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জোগান নিশ্চিত না হলে ডলার দাম বেড়েই চলবে। তাই সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ বাড়াতে হবে। একই সাথে কৃত্রিম সংকটরোধে কঠোর নজরদারিও রাখতে হবে।  

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘এখন কিন্তু নীট এফবিআই দেড় বিলিয়ন ডলারের কম, সেটা কীভাবে বাড়ানো যায়। আবার এই এফডিআইয়ের মধ্যে বড় একটা অংশ নিজেদের যে অংশ ছিল সেটা আবার তারা বিনিয়োগ করছে। তার মানে নতুন করে ডলারের যে প্রবাহ সেটা কিন্তু খুবই কম।’

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডলারের বাড়তি মূল্য আরেক দফা উসকে দিতে পারে মূল্যস্ফীতিকে।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস