উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে মোবাইল ফোন কল ও ইন্টারনেটে বাড়তি শুল্ক সাধারণ ভোক্তার ওপর বাড়তি বোঝা বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে বিপাকে ফেলবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য মতে, দেশে এখন মোবাইল গ্রাহক ১৮ কোটি ৮৮ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ২৮ লাখ। এর মধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ এক কোটি ৩৪ লাখ। এসব গ্রাহককে এখন থেকে বাড়তি খরচ করতে হবে।
নতুন সিদ্ধান্তে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে কর বাবদ কাটা পড়বে ৫৬ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ টাকার মতো। অর্থাৎ ১০০ টাকা রিচার্জ করে গ্রাহক মোবাইল ফোনে মাত্র ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা ব্যবহার করতে পারছেন। ১০০ টাকা রিচার্জে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হচ্ছে ২৯ টাকা ৮ পয়সা। এ ছাড়া রেভিনিউ শেয়ার ও অন্যান্য কর ৬ টাকা ১০ পয়সা। আর পরোক্ষ কর আরও ২০ টাকা ৪০ পয়সা।
প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বসেছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা বলছে, এখন থেকে গ্রাহককে ৭৭ টাকা ৫৫ পয়সা অতিরিক্ত দিতে হবে ৫০০ টাকার সংযোগে। আর ১ হাজার টাকার সংযোগে বেশি দিতে হবে ১৫৫ টাকা।
এ নিয়ে আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘যারা ৫০০, ৭০০ ও ১০০০ হাজার টাকার গ্রাহক, তাদের ওপর বোঝা হয়ে যাবে। আমি মনে করি, করপোরেট কাস্টমার যারা রয়েছেন তারাও ভুক্তভোগী হবেন। এ নিয়ে সরকারকে আরও ভাবতে হবে।’
ইন্টারনেটসহ অন্যান্য খাতে খরচ বৃদ্ধি সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই সরকারকে এদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ ভোক্তা স্বার্থরক্ষা সংগঠন ক্যাবের। সংগঠনটির সহ-সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘ট্যাক্স ফাঁকির যে বিষয়টি রয়েছে, সেটি বন্ধ করতে পারলে কিন্তু বারবার এভাবে ট্যাক্স ও শুল্কের কোনো প্রয়োজন কিন্তু পড়ে না।’
রাজস্ব আদায়ে নির্দিষ্ট খাতে শুল্ক না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।
Comments