Image description

আসছে রমজানে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করবে না মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। শুধু মুরগি, ডিম ও তরল দুধ বিক্রি করবে। সক্ষমতার অভাবে রোববার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। চড়া মূল্যস্ফীতির বাজারে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ ভোক্তা ও খামারীরা।

গত কয়েক বছর ধরে রোজার মাসে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি করে আসছে মৎস ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বাজারের চেয়ে দাম কম থাকে বলে এতে ভোক্তাদের ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু এবার মিলবে না গরু ও খাসির মাংস।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় রোজায় শুধু তরল দুধ, ডিম ও মুরগি বিক্রি করা হবে। প্রতি লিটার গরুর দুধ ৮০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি ও সাড়ে ৯ টাকা দরে মুরগির ডিম বিক্রি হবে।   

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা ব্যবহার করে এবং স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ কার্যক্রম চালু করবো। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন পণ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।’   

চড়া মূল্যের বাজারেও প্রতি কেজি গরু ও খাসির মাংস ৬০০ ও ৯০০ টাকায় কিনতে পারতো ভোক্তারা। এবার এ সুযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে হতাশ সবাই। 

এক ভোক্তা বলেন, ‘বর্তমানে সবকিছুর দাম বেশি। সবাই সবকিছু কিনে খেতে পারে না। এটা গরীব মানুষের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা হতো।’

ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘গরুর মাংস যদি অন্তর্ভুক্ত যদি না থাকে তাহলে এই আয়োজনটা ফিকে হয়ে যাবে। মূল আইটেম দুইটা কমে যাচ্ছে, মাথাপিছু খরচ কিন্তু একই থাকবে। দুধ এবং মুরগি কিন্তু খোলা ভ্যানে বিক্রি করতে পারবে না।’

গতবছর রমজানে মাংসের পাশাপাশি মাছও বিক্রি করেছিলো সরকার। এবার মাছ বিক্রি নিয়েও এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস